ঊর্মিল সৈকত টেকনাফ:টেকনাফ শহর ছাড়িয়ে দক্ষিনে প্রায় পাচ কিলোমিটার দূরে টেকনাফ সমুদ্র সৈকত। খুবই পরিচ্ছন্ন এ সৈকতে পর্যটকের আনাগোনা সব সময়ই কম থাকে। এত পরিচ্ছন্ন সৈকত বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি নেই। টেকনাফ সৈকত দেশের অন্যান্য সমুদ্র সৈকতগুলো থেকে একেবাইে আলাদা। পুরো সৈকতের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে জেলেদের মাছ ধরার বর্ণিল সব ইঞ্জিন নৌকা। লাল, নীল, বেগুনী ইত্যাদি বাহারি রঙের পতাকা দিয়ে জেলেরা এখানে তাদের নৌকাগুলোতে সাজিয়ে থাকেন। নৌকাগুলোর গায়েও থাকে রংতুলির বর্ণিল আচড়। এ ছাড়া এ সৈকতের কিছু দূরত্বেও ব্যবধানে আছে ঘন ঘন ঝাউ বন। সৈকত লাগোয়া এখানে আছে জেলেদের বেশকিছু বসতি। পূণিমার জোয়ারের ঢেউ টেকনাফ সৈকতে বিশাল আকার ধারণ করে। সৈকতের মূল প্রবেশ পথ থেকে হাতের বা দিকে চলে গেলে যাওয়া যায় শাহ পরীর দ্বীপের কাছাকাছি। এত সুন্দর, এত সাজানো বেলাভূমি যেকোনো ভ্রমনপাগল মাুনষের কাছেই ভালো লাগবে। এ ছাড়া হাতের ডান দিকে চলে গেলে যাওয়া যাবে হ াজামপাড়া, শিলখালী বিংবা শ্যমলাপুর সৈকতের দিকে। এখান থেকে উত্তর দিকে সৈকতের পাশ দিয়ে আকাশ ছুয়েছে তৈঙ্গা পাহাড়। সাগর আর পাহাড়ের এতো সুন্দর বন্ধুত্ব কেবল এখানেই দেখা সম্ভব। টেকনাফ সমুদ্র সৈকত এখনও পর্যটকদের কাছে খুব পরিচিত জায়গা নয়। তবে যারা নির্জনতার কাছে থেকে প্রকৃতিকে খুব আপন করে উপভোগ করতে চান তাদের জন্য এ সৈকতের কোনো বিকল্প নেই। টেকনাফ সৈকতের আরেক বিশেষ আকর্ষণ সকাল-বিকাল জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করা। চিংড়ি পোনা শিকারিরা এ সৈকতে নিজস্ব কৌশলে সর্বদা ব্য¯ত থাকেন পোনা ধরতে। আর দূর সমুদ্র থেকে নৌকা বোঝাই মাছ নিয়ে শত শত জেলে এখানেই নিয়ে আসেন সকাল-বিকাল। টেকনাফ শহর থেকে ব্যাটারি চালিত রিকশায় সৈকতে আসতে সময় লাগবে
আধা ঘন্টার কম।
সতর্কতা: টেকনাফের কোনো সমুদ্র সৈকতেই নেই কোনোরকম লাইফ গার্ডের ব্যবস্থ্ া তাই জোয়ার-ভাটার সাংকেতিক কোন চিন্তও থাকে না এ সৈকতে। তাই সমুদ্র স্নানে নামলে আগে থেকেই নিজ দায়িত্বে জোয়ার ভাটা সম্পর্কে জেনে নিন। কোনো
অবস্থাতেই ভাটার সময় কিংবা একাকী সমুদ্রে নামবেন না জোয়ার ভাটার সময় জানার জন্য স্থানীয় জেলেদের সহায়তা নিতে পারেন।
|
PAGE 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 |